তিনি বলেন, জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার মত বিএনপির এমন কোন মুখ নেই, তাই তারা আন্দোলন ও নির্বাচনে ব্যর্থ হয়ে নতুন নতুন ইস্যু খুঁজে বেড়াচ্ছে।বিএনপির রাজনীতি মাঠে নয়, তাদের রাজনীতি এখন মিডিয়া নির্ভর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক নেতা তারেক রহমান লন্ডনে বসে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে উসকানি দিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিবে না প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন বর্তমান সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে না, নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে জয়ী হবার নিশ্চয়তা দিলেই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ, আর জয়ী হবার নিশ্চয়তা না দিলে নিরপেক্ষ নয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে। কে অংশ নিলো কি নিলো না তা দেখার কিছু নেই। কারণ নির্বাচন কারো জন্য বসে থাকবে না।
বিএনপি ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ না নিলেও ঘোমটা পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে অংশ নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল বলেন, তারা নির্বাচনে হানাহানি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে ষড়যন্ত্র করছে, তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দলের মধ্যে যারা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা কমিটি শোকজ ও প্রাথমিকভাবে বহিস্কার করে কেন্দ্রে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুঃসময়ের ত্যাগীদের কমিটিতে রাখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতে হবে।
সুসময়ে অনুপ্রবেশকারীরা দলে প্রবেশ করলে দলের ভিতর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাই ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ভাড়া করে খারাপ লোকদের দলে এনে দল ভারী করার কোন দরকার নেই।
ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনয়ন যারা পায়নি তারা দলের নিয়ম না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন এবং নেপথ্যে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।